যুবদল ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কর্মী মোহাম্মদ নয়ন মিয়ার মৃত্যু সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘শহীদ’ নয়ন মিয়ার জানাজাপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।
মোহাম্মদ নয়ন মিয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কলাবাগান থানা যুবদল ১৬নং ওয়ার্ড কর্মী ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৪৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
‘শহীদ’ যুবদল কর্মী নয়ন মিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুম-খুন-হত্যার মধ্য দিয়ে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সরকার বাকশাল কায়েমের জন্য গুলি চালিয়ে অসংখ্য ছাত্রকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা পতন আন্দোলনে পুলিশ বাহিনীর গুলিতে মোহাম্মদ নয়ন মিয়ার প্রাণ গেছে। আমাদের অনেক ভাইয়ের প্রাণ গেছে, রক্ত ঝরেছে। এ রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না, তার আত্মত্যাগ আমাদের আরও শক্তিশালী করেছে।
আওয়ামী লীগ গুম-খুন, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল উল্লেখ করে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকেই দেশে থাকতে পারেনি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সর্বপ্রথমে গ্রেপ্তার-নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের ওপর কারাগারে অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ আব্দুল্লাহ, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, গিয়াস উদ্দিন মামুন, রুহুল ইসলাম মনি, সুমন দেওয়ান, এসএম জাহাঙ্গীর চায়না, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, মিজানুর রহমান সুমনসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন