খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশের সামগ্রিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে। জনগণের অধিকার হরণ করেছে। শিক্ষাঙ্গনগুলোতে দলীয় ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ক্যাম্পাসগুলোতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা এবং পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিরতা দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস আয়োজিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৪-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, দেশের সব সেক্টরে স্থিতিশীলতার পরিবেশ রক্ষায় দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। স্বৈরাচার সরকারের আমলে সব হত্যার বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। দেশের বাইরে বসে খুনি হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে। শিক্ষা কারিকুলাম সংস্কারের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে সেখানে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ও ইসলামী বিশেষজ্ঞ অন্তুর্ভুক্ত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য অন্য যে কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে সেগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন আয়োজন করবে আমরা প্রত্যাশা করছি। দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দল এক্ষেত্রে সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণদের দায়িত্ব অনেক বেশি। শিক্ষার্থীরা জাতির আগামীর কর্ণধার। তারা যদি সঠিক নেতৃত্বে এগিয়ে আসে তাহলে দেশের পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে, যেখানে ছাত্রদের দায়িত্ব হলো ন্যায় ও সততার পতাকা উঁচু করে রাখা।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসাইন, আহমদ আলী কাসেমী, আবদুল্লাহ ফরিদ, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জয়নুল ইসলাম, রুহুল আমীন সাদী, শ্রমিক মজলিসের মুহাম্মদ আবদুল করিম, ইসলামী যুব মজলিসের তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, শায়খুল ইসলাম, আবদুল হাফিজ খসরু, সোহাইল আহমদ, আজিজুল হক, খেলাফত মজলিসের সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুসা আল হাফিজ, রেজাউল করিম আবরার, সরোয়ার হোসেন, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নুরুল বশর আজিজীসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এবিএম ইজাজুল কবির রুয়েল, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সভাপতি রেজওয়ান মাজহারী, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকি, গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েলসহ বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে আসা ছাত্র মজলিস প্রতিনিধি বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন