মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের ৮ দফা দাবি সদয় বিবেচনার জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিজয় সরণি টাওয়ারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম ৮ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিচালক-৫ (প্রতিকল্প) এ কে এম ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত (পত্র সংখ্যা- ০৩.০০.০০০০.০৭২.২৭.০০১.২৪-০২) চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের পক্ষে ৮ দফা দাবি সদয় বিবেচনার জন্য বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও সাবেক বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচার এবং ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ আট দফা দাবি জানিয়ে গত ২২ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মাকরলিপি প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, অ্যাডভোকেট নুরতাজ আরা ঐশী, আলহাজ মো. ফজলুল হক, হাফেজ শহিদুল্লাহ, মোছাম্মদ আম্বিয়া, নুরজাহান বেগম, রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ নেতারা।
আট দফা দাবিসমূহ হল :
১. স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানাভিত্তিক তালিকা করে শীর্ষ দশটি ঘটনা ৪৫ দিনের মধ্যে সমাধান করা এবং অন্যদের বিষয়টিও দ্রুত সমাধান করা।
২. ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির উপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করা।
৩. সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএল'র গৃহীত ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্পসহ অনুরূপ ১০০টি প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে চালু করা।
৪. ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা করে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করা।
৫. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ স্বৈরাচারী সরকারের দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচার করা।
৬. ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৭. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বে এক শতাংশ ভোটারদের সমর্থন নেওয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করা।
৮. শেখ হাসিনার নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করা।
মন্তব্য করুন