রাজনীতিতে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, জাপার মতো সরকারের সমালোচনা অনেকেই করেনি। তখন একটি কথার জন্য একটি মানুষ গুম হয়ে যেত। আমরা সরকারের সমালোচনা করেছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমাদের মুক্তি দিয়েছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি সুবধাভোগী রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির এই চেয়ারম্যান।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দলের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে সব রাজনৈতিক শক্তিই আমাদের ধ্বংস করতে চেয়েছে এমন অভিযোগ করে জিএম কাদের বলেন, শত নির্যাতনের পরও আমরা সবসময় জনগণের পক্ষে থাকতে চেষ্টা করেছি। আমাদের অপবাদ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আপনারা খেয়াল করবেন, আমাদের ওপর কতটা জুলুম-নির্যাতন হয়েছে। আমাদের ভুলগুলো ছিল অনিচ্ছাকৃত। তারপরও অনিচ্ছাকৃত ভুল হলে...আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। আমরা জনগণের পাশে ছিলাম, পাশেই থাকব।
২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা যেতে চাইনি দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের ব্ল্যাকমেইল করে, জোর করে নির্বাচনে নেওয়া হয়েছে। আমরা বলেছিলাম নির্বাচন সঠিক হবে না। নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরে প্রতিদিনই আমরা বলেছি... নির্বাচন সঠিক হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন আমাদের মুক্তি দিয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক একটি দেশ হবে, এটা মানুষের চাওয়া ছিল। বৈষম্যহীন দেশের জন্য দেশের ছাত্র-েজনতাকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম, অথচ আমাদের নামে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
আমরা ২০২৪ সালের নির্বাচনে যদি না যেতাম, তাহলে কি আমাদের একটি অংশকে নির্বাচনে নেওয়া হতো না এমন প্রশ্ন রেখে জিএম কাদের বলেন, আমরা নির্বাচনে না গেলে নির্বাচন কি বন্ধ হতো না।
সরকারের পতন হয়েছে দুর্নীতি, দুঃশাসন আর মানুষের বৈষম্য সৃষ্টির জন্য এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দোয়া ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মনিরুল ইসলাম মিলন, মাসরুর মওলা, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, উপদেষ্টা ড. নরুল আজহার শামীম, ড. গোলাম মোস্তফা, অ্যাড. মমতাজ উদ্দীন, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, রফিকুর আলম সেলিম, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সুলতান আহমেদ সেলিম, আহাদ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, অ্যাড. হামিদ ভাষানী, শামীম আহমেদ রিজভী।
মন্তব্য করুন