গোপালগঞ্জে নিজ এলাকায় যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী এবং তার সহধর্মিণী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ককে দেখতে যান বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান তিনি।
এ সময় ইশরাক চিকিৎসাধীন নেতাদের খোঁজখবর নেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ইশরাকের সঙ্গে এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে বাধা দেওয়ায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত হোসেন দিদার (৩৮) নিহত হন। আহত হন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীসহ আরও অন্তত ৩০ জন।
সেদিন বিকেল শহরের বেগগ্রাম এলাকায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকউজ্জামানের সভাপতিত্বে পথসভা শেষ করে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুর রহমান তাজসহ কেন্দ্রীয় নেতারা গাড়িবহর নিয়ে সেখান থেকে রওনা হন টুঙ্গিপাড়ায় জনসভার উদ্দেশ্যে। পথে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছলে একদল জনতা তাদের লাঠি নিয়ে বাধা দেয়। পরে গাড়িবহর থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নেমে বাধাদানকারীদের ধাওয়া দেন।
একপর্যায়ে স্থানীয় দোকান-মালিকসহ সাধারণ জনগণ তাদের লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে পাল্টা ধাওয়া করেন। এ সময় তারা বিএনপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা করে এবং অন্তত ১৫টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে এবং বিএনপি নেতারাসহ গাড়িবহরে থাকা নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর করে।
মন্তব্য করুন