বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ দেশকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে যারা মুক্ত করেছে সেই সব শহীদদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধা জেলা জামায়াত আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে গাইবান্ধায় শহীদ ৬ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথাগুলো বলেন।
গাইবান্ধা জেলা আমির মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি জহুরুল হক সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও গাইবান্ধা জেলার সাবেক আমির ডা. আব্দুর রহিম সরকার।
গোলাম পরওয়ার বলেন, যারা গুলি চালিয়ে ছাত্রজনতাকে হত্যা করে লাশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তাদের বিচার করতে হবে। আমরা এই নির্মম, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে গণহত্যা চালিয়েছে, জামায়াত নেতাদের ফাঁসিরকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে, বহু মানুষকে গুম করেছে দেশের মানুষ তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না। গত ৫ আগস্টের পরাজিত গোষ্ঠী হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাধিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছে। অথচ তাদের দ্বারাই সবচেয়ে বেশি হিন্দু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী সকলে মিলে আমরা অসাম্প্রদায়িক শান্তি-স্বস্তির দেশ গড়তে চাই।
মতবিনিময় সভা শেষে মিয়া গোলাম পরওয়ার সভা মঞ্চ থেকে নেমে দর্শকসারিতে বসা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে তাদের সান্ত্বনা দেন এবং প্রত্যেক পরিবারকে ১ লক্ষ করে টাকা তুলে দেন।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, বিগত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কেবলমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই অংশগ্রহণ করেছিল। ছাত্ররা এদেশের মাননষকে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে উদ্ধার করেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার আমাদের দুর্নীতিমুক্ত দুজন মন্ত্রীসহ মোট সাতজন নেতাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। পতিত জালিম সরকার সারা দেশে জামায়াতের ৪০০ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই জালিম সরকার হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে ৪ বছরের শিশু পর্যন্ত হত্যা করেছে। অবশ্য এদের বিচার করতে হবে।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির আব্দুল ওয়ারেছ, অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি সৈয়দ আব্দুস সালেক, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম, মাওলানা সাইদুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের গাইবান্ধা জেলা সভাপতি নুরুন্নবী প্রধান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম মন্ডল, মো. ফয়সাল কবির, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি ওমর সানি আকন্দ, জেলা সেক্রেটারি ফেরদৌস সরকার রুম্মানসহ উপজেলা নেতারা।
মন্তব্য করুন