পার্বত্য অঞ্চলে সম্প্রীতি বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ৯ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতারা।
সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাবনা পেশ করেন তারা।
গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
প্রস্তাবনাগুলো :
১। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সব নাগরিক ও জাতিগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
২। নাগরিক হত্যার রাজনীতি থেকে সরিয়ে আনতে হবে স্থানীয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে।
৩। বাংলাদেশি চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে সব জাতি-গোষ্ঠীর সমমর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আনঅথরাইজড উইপেন সিজ করা সাপেক্ষে পার্বত্য অঞ্চলে সেনা মোতায়েন ব্যবস্থা শিথিল পর্যায়ে আনতে হবে। ৫। প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সমতা বিধানে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় সব সেক্টরে স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৬। পার্বত্য অঞ্চলের সব পর্যায় থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে আদায়কারীদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে পাহাড়ের অর্থনীতি ও ব্যবসাকে নাগরিকবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
৭। পাহাড়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে কমিউনাল হারমনি কাউন্সিল গঠন করতে হবে- যেখানে সব ধর্মের সমসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবে। ৮। পাহাড়ি-বাঙালি দূরত্ব ঘোচাতে বাংলাদেশি নাগরিক চেতনা পাহাড়ে বসবাসরত সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ‘নাগরিক ভ্রাতৃত্ব’ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।
৯। পাহাড়ে সব ধরনের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত চাকরিতে নিয়োগে আদালত নির্ধারিত কোটা ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার জীসান মহসিন, সদস্য আরিফ বিল্লাহ, সাকিব হোসাইন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোল্লা রহমতুল্লাহ, সদস্য সচিব মুনতাসীর মাহমুদ।
বিকেলে গণমাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদের এই অংশের দপ্তর সহ-সমন্বয়ক আরিফ বিল্লাহ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন