গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা গুলি করেছে,যারা নির্দেশ দিয়েছে, তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। বদলির মাধ্যমে কাউকেই দায়মুক্তির সুযোগ দেওয়া হবে না।
একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি অপরাধীদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, শুধু বদলি করলেই হবে না। দুর্নীতিবাজ আমলাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল সবাইকে আটক করতে হবে।
শনিবার (৭ আগস্ট) গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় প্রতীক ট্রাক মার্কা নিবন্ধন পাওয়ায় লক্ষ্মীপুরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে লক্ষ্মীপুরে জেলা গণঅধিকার পরিষদ। মিছিলটি শহরের উত্তর তেমুহনী শহীদ আফফান চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঝুমুর ইলিশ চত্বরে এসে সমবেত হয়।
এক পর্যায়ে আনন্দ মিছিল থেকে খণ্ড খণ্ড আকারে বিভিন্ন পিকআপ ও ট্রাকে করে সদর উপজেলার মান্দারী ও দালাল বাজার প্রদক্ষিণ করে ফের শহীদ আফফান চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আবু হানিফ বলেন, গণঅধিকার পরিষদের ঘোষণা চাঁদাবাজি চলবে না। ছাত্র-জনতা এই দখলদারিত্বের জন্য জীবন দেয়নি। বাংলাদেশ হবে সবার বাংলাদেশ, এখানে কোনো চাঁদাবাজ, লুটপাটকারী, দখলদারিত্বের স্থান হবে না। যারাই এসব করবে তাদের প্রতিহত করা হবে। বিপ্লবের পরবর্তী সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, কেননা পরাজিত শক্তি যে কোনো সময় আঘাত হানতে পারে।
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আরিফ তালুকদার বলেন, ‘বাংলাদেশে সব অবিচার দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে গণঅধিকার পরিষদ। আগামী নির্বাচন ৩০০ আসনেই ট্রাক মার্কা প্রতীকে প্রার্থী দিয়ে গণঅধিকার পরিষদ বাংলাদেশের বুকে সোনালি যুগের সূচনা করবে, লক্ষ্মীপুরবাসী ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে।’
গণঅধিকার পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নুর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাধ হোসেন, সদস্যসচিব সার্জন সোলাইমান চৌধুরী, যুব অধিকারের জেলা সভাপতি মো. ওসমান আরিফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা রেদুওয়ান, ছাত্রনেতা শাহেদ সারোয়ার প্রমুখ।
মন্তব্য করুন