ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, কারো দাদাগিরি মানব না- সবে ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিহত করব। দেশবাসীকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁও র্যাব অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নীরব বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন। ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার দায়ে তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কারণ, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বসে নেই। তারা নানাভাবে বিভিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্র করছে।
ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিদায় হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো চক্রান্ত করছে।
বিগত সরকারের জুলুমের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার গত দেড় যুগ ধরে বিরোধী মতের লাখ লাখ মানুষের ওপর হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক বলেন, পুরাতন জঞ্জাল নতুন প্রজন্ম সরাবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে আমরা এখানে এসেছি। প্রতিবাদী তারুণ্য কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা, সাধারণ জনগণ সবাই মিলে রক্ত দিয়ে তুমুল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারকে শুধু পতনই করেনি, এক্কেবারে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এই আন্দোলন হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষকে একটি নতুন প্রেক্ষাপট দেওয়ার জন্য।
আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ আছে যদি দলের কেউ কোনো চাঁদাবাজি, নাশকতা ও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে- তার দায়ভার দল নেবে না উল্লেখ করে নীরব বলেন, অপরাধী যত বড়ই নেতা হোন না কেন, তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না- যা জনগণের আস্থা নষ্ট করে, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান দুলাল, মোহাম্মদ সোলায়মানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন থানার নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন