সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন মৎস্যজীবী দল নেতা ফেরদৌস হাওলাদারকে দেখতে হাসপাতালে যান সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুর রহিম।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে মৎস্যজীবী দলের কেন্দ্রীয় ও বরিশাল মহানগরীর নেতারা ফেরদৌস হাওলাদারকে দেখতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। ফেরদৌস হাওলাদার মৎস্যজীবী দলের বরিশাল মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক।
এ সময়ে মৎস্যজীবী দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান, ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জহিরুল ইসলাম বাসার, কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহাদত হোসেন, বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক সাইদুর আলম মিলন, সদস্যসচিব কামাল সিকদার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সালাম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও মহানগরের নেতা আরিফ মৃধা প্রমুখ।
দুপুরে মৎস্যজীবী দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিনের নেতৃত্বে বরিশাল মহানগরীর বঙ্গবন্ধু কলোনিসহ আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে চাঁদাবাজি ও জমজমাট মাদক ব্যবসা চলে আসছে। গত বছরের ৫ অক্টোবরের পর এলাকাবাসী চাঁদাবাজিসহ মাদক কারবারের বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করলে আল-আমিনসহ সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মৎস্যজীবী দলের বরিশাল মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস হাওলাদারসহ তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত করে। আহত ফেরদৌসের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় এবং হাতুড়ি ও লোহার রডের আঘাতে তার হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে যায়।
আহত অন্যরা হলেন- মো. তানজিল ও মো. সুমন। প্রাথমিকভাবে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে ফেরদৌস হাওলাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞপ্তিতে আব্দুর রহিম এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে দোষীদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন