কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এস আলম গ্রুপের গাড়িতে চড়ায় সালাহউদ্দিনের দুঃখপ্রকাশ

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি : সংগৃহীত

আলোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এস আলম) মালিকানাধীন গাড়িতে চড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে সংবর্ধনা নেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি।

ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে যে, দীর্ঘ ১০ বছর পর আমি আমার এলাকায় যাওয়ার জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে একটি গাড়িতে উঠি; যে গাড়িটি ছিল এস আলম কোম্পানির।

তিনি বলেন, একটি সংবাদমাধ্যম আমার বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। আমি বলেছি আমি নিজেই এটা জানতাম না। জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সকল ব্যবস্থা করেছে। কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কে গাড়িতে পরিপূর্ণ ছিল। আমি নামার পর কিছু গাড়ি দেখেছি। স্থানীয় নেতারা বলেছেন, ওই গাড়িতে উঠেন তাই আমি উঠেছি।

সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরে জেনেছি, আমার এলাকার এক ছোট ভাই ওই কোম্পানির জমি জমা দেখাশোনা করে, সেই গাড়িটি নিয়ে গিয়েছিল। সেটা একটা পুরাতন গাড়ি ছিল, আমি যদি জানতাম তাহলে আমি ওই গাড়িতে উঠতাম না। তারপরও আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। অনিচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনাটি ঘটেছে-এজন্য আমি দেশবাসীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করছি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত লোকজনকে আটক করা হচ্ছে তাদেরকেও সঠিকভাবে ইন্টারোগেশন করা হচ্ছে না। গুমের ঘটনাগুলোর সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। তাদেরকে যথাযথ জিজ্ঞাসাবাদ এর মাধ্যমে প্রত্যেকটি ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা আস্তানা খুঁজে বের করা হচ্ছে না। এই কাজে সরকারি পর্যায়ের কারা কারা জড়িত ছিল তাদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে না।

এরআগে গত বুধবার দুপুরের ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে গিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের গাড়িবহরের সঙ্গে পেকুয়ায় পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি যে গাড়িতে ওঠেন সেটি ছিল এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ও এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে নিবন্ধন করা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।

ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান এস আলম আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। দেশের ছয়টি ব্যাংকের মালিকানা ছিল এই গ্রুপের। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একে একে সামনে আসছে এস আলম গ্রুপের দুর্নীতি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড জয় ভারতের

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রোগ্রামার শাহেদা মুস্তাফিজকে নিয়ে রাহিতুলের বই

বাপার সংবাদ সম্মেলন / ‘পরিবেশ রক্ষায় প্রতিবন্ধক আমলারা, বন্ধু হচ্ছে জনগণ’

সর্বক্ষেত্রে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করুন : সাবেক এমপি হাবিব

জুলাই ঘোষণাপত্র ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার অবৈধ : ফরহাদ মজহার

ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান

ঢাকায় নাটোরবাসীর মিলনমেলা শুক্রবার

সোনারগাঁয়ে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনের

পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেন মোখলেছুর রহমান

১০

শেখ পরিবার সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ : দুদু 

১১

শীতে বাড়ছে ডায়রিয়া, ৮৫ শতাংশ রোগীই শিশু

১২

এসএমসি’র ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে লোগো উন্মোচন 

১৩

৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ফের ভোটগ্রহণের প্রস্তাব

১৪

‘একদম চুপ, কান ফাটাইয়া ফেলমু’, অধ্যক্ষকে জামায়াত কর্মী

১৫

ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন

১৬

বগুড়ায় নাশকতা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৭

বিয়েতে অস্বীকৃতি, বাবার গুলিতে মেয়ে নিহত

১৮

সাত কৃষককে ধরে নিয়ে গেল সন্ত্রাসীরা, মুক্তিপণ দাবি

১৯

ছাগলকাণ্ড : সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রিমান্ডে

২০
X