বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো স্ব-পদে বহাল আছে। তাদের পদচারণা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহর পর বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুন্ঠন, ছাত্র-জনতাকে গণহত্যাসহ সকল অপকর্মের জন্য শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, এমন একটি নির্বাচন হোক, যে নির্বাচনে বাংলাদেশে হাসিনা যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে, সেই ইতিহাস আর যেন পুনরুজ্জীবিত না হয়। সংবিধান রক্ষা করতে হবে, বাংলাদেশে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব আল্লাহর পর ড. ইউনূসের।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো স্ব-পদে বহাল আছে। এদের পদচারণা বন্ধ করতে হবে। এরা আমাকে-আপনাকে অধিকার বঞ্চিত করেছে। এরা বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহচরদের সহযোগিতা করেছে। এরা তারা, যারা বাংলাদেশের সংবিধান নষ্ট করেছে। এরা তারা, যাদের পক্ষে রায় হয়নি বলে হাইকোর্টের সামনে ময়লা ফেলেছে, এজলাসে লাথি মেরেছে। এরা তারা, যারা আমার ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে। এরা তারা, যারা বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। এরা তারা, যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে। এরা এখনো আপনাদের আশপাশে ঘুরছে।
কেন বেনজীর-আজিজকে আইনের আওতায় আনা হলো না প্রশ্ন করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পাশ্বর্বর্তী দেশে পালিয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, যদি বিচার বিভাগ চায়, তাহলে হাসিনাকে আনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আমরা যাওয়া-টাওয়া বুঝি না। একটাই বুঝি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতেই হবে।
ড. ইউনূসকে সহযোগিতা করতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে হবে। বাংলাদেশের সংস্কার করেন, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ আবার বাংলাদেশের রাজনীতি করে বাংলাদেশের সংবিধান, বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে যাতে না দিতে পারে, সেদিকে নজর রাখতে হবে৷ এদের কাছে টাকা আছে, অস্ত্র আছে। এরা দুর্নীতিবাজ। আওয়ামী লীগের কাছে সবচেয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র আছে, এদের ধরে আনতে হবে। এই অস্ত্র যদি উদ্ধার করে আনতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশে আপনাদের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাবে।
তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ. ক. ম মোজাম্মেল, বিলকিস ইসলাম, ওলামা দল নেতা মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন