চলমান আন্দোলন গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন মন্তব্য করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণের এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না। তাহলে দেশেও বিপদে পড়বেন, দেশের বাইরেও বিপদে পড়বেন। কারণ বিশ্ব চলমান এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন।
গত শনিবার ঢাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন ও পাইকারি হারে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি আছে, নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হবে না। আন্দোলন চলছে, এ আন্দোলন চলমান থাকবে অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত না হবে আন্দোলন চলবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নেতৃত্ব কে দেবে তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ। আদালত বা প্রশাসন নয়। ইতোমধ্যে ২৮ জুলাই দেশের মানুষ বার্তা দিয়েছে, মানুষ সিদ্ধান্ত দিয়েছে চলমান আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। নেতৃত্ব কারও কথায় তৈরি হয় না, কারও ওপর নির্ভর করে নেতা হয় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারেক রহমান আন্দোলনকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এখন তা সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে দেশ ও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারকে বিদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সভা-সমাবেশ থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে কিন্তু শান্তি কমিটির সভা থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করেননি। যদিও ২৯ তারিখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মিলে একসঙ্গে হামলা করেছেন।
আমীর খসরু বলেন, এখন থেকে নেতাকর্মীরা বাধাগ্রস্ত হলে প্রতিবাদ করবে, প্রয়োজনে প্রতিরোধ করবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন : খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের পরিচালনায় জনসমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবদীন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রতন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী সপু, শিরিন সুলতানা, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, কৃষক দলের শহীদুল ইসলাম বাবুল, রওলামা দলের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক খান, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম।
মন্তব্য করুন