বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের জনগণ বোঝে, যড়যন্ত্রের হোতা কে? অবিলম্বে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজখবর নেওয়া এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছরের স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যেভাবে এ দেশের মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন-অত্যাচার এবং হত্যা-গুম-খুন চালিয়েছে, তার অবসান ঘটেছে ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে। এ দেশের মাটিতে আর এ রকম স্বৈরাচারের স্থান নেই। আমরা আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চাই না।
এসময় আমিনুল হক গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ছয়জন ছাত্র আমিনুল ইসলাম হৃদয়, শাহরিয়ার হোসেন আলভী, মো. সানি, সাব্বির হোসেন রনি, জুলফিকার আহমেদ সাকিল এবং লিটন হোসেন লাল্লুর বাসভবনে গিয়ে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করেন।
নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের পাশে রয়েছেন। আমরা সবাই আপনাদের পাশে আছি, সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে থাকবো এবং আপনাদের জন্য যা যা করণীয় সবকিছু করবো। ভাই হিসেবে, সন্তান হিসেবে আমরা পাশে থাকব।
এ সময় আমিনুলের সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লাইলী বেগম, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজী, আনিসুর রহমান আনিস, রুপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, পল্লবী ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোস্তফা মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মো. মামুনসহ স্থানীয় বিএনপি ও সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।