অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করা আমাদের সবার দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, আজকে যারা মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। দেশ থেকে একজন পালিয়েছে। কিন্তু তার দোসররা দেশে রয়ে গেছে। তাদের হাতে জনগণের সম্পদ লুণ্ঠিত টাকা আছে। তাদের হাতে আইনি-বেআইনি অস্ত্র আছে। তারা সুযোগ পেলেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সেজন্য আমাদের সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অন্যায়কারী, দুর্বৃত্তকারী ও সুবিধাবাদীকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ন্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সংগঠনের সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ডা. রফিকুল কবির লাবু প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের নার্স নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. জাহিদ আরও বলেন, সব জঞ্জাল, সব দুর্নীতির চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হতো না। টাকা ছাড়া কিছুই হতো না। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দেশে এখন বন্যায় প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৮ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। এ বন্যা প্রাকৃতিক হলেও এর মধ্যে কিছুটা মনুষ্যসৃষ্টও ছিল।
সভাপতির বক্তব্যে জাহানারা খাতুন বলেন, নার্সদের ইউনিফর্ম আগের মতো করতে হবে। নার্সিং সুপারভাইজার পদ সৃষ্টি করতে হবে। যে সব নার্স দুই বছরের বেশি ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে আছে তাদের দুই বছর পর পর পরিবর্তন করতে হবে। সব নার্সকে রাত্রিকালীন ডিউটি সমানভাবে দিতে হবে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার নামফলক মুছে ফেলা হয়েছে, তা পুনরায় স্থাপন করতে হবে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ জিয়াউর রহমান মহাখালীতে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার নামফলক মুছে ফেলা হয়েছে, তা পুনরায় নামফলক করা হোক।
তিনি বলেন, বর্তমান নার্সিং অধিদপ্তরে নার্সিং পেশায় নিয়োজিত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্সদের পদায়ন করতে হবে। জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম নার্সদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সেবা পরিদপ্তরে আলাদা করে দিয়েছিলেন এবং স্বর্ণ পদক প্রথা চালু করেছিলেন।