ফেনীতে বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ফেনীর বিভিন্ন স্থানে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়। একই দিনে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণের সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে এসেছে কিন্তু দুর্গম এলাকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেকেই কাছাকাছি জায়গায় স্থান দেওয়ায় কেউ বারবার পাচ্ছে আবার কেউ কেউ একবারও পাচ্ছে না। আমরা জেলা প্রশাসককে বলব, ওনারা যেন ত্রাণ বিতরণে সমন্বয় করেন। ত্রাণসহ টিম ভাগ করে বিভিন্ন স্থানে পাঠায়, যাতে করে সবাই ত্রাণ পায়, এই কাজটি প্রশাসনকেই করতে হবে। এ ছাড়া এই ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে দেশবাসীকে পাশে থাকার আহ্বান করেন তিনি।
এসময় লোকজন নুরুল হক নুরের কাছে এসে বলেন, দীর্ঘদিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বিশুদ্ধ পানির বড় সংকট দেখা দিয়েছে, এই মুহূর্তে বিশুদ্ধ পানি ও মোমবাতি বেশি প্রয়োজন আমাদের। তখন নুরুল হক নুর আশ্বস্ত করেন বিষয়টা সমাধানে তিনি নিজেও কাজ করবেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বিষয়টি অবগত করবেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য ভারত দায়ী। তারা রাতের অন্ধকার ব্যারেজ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ডুবিয়ে মেরেছে। ফেনীর মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। সাধারণ কোনো স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে এই ঘরবন্দি মানুষের কাছে খাদ্য, পানি পৌঁছানো সম্ভব নয়। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা এসব মানুষকে উদ্ধার করেছে। যেখানে পানি নাই, সেখানে তাঁবু টাঙিয়ে রাখতে হবে। এভাবে শুধু চিড়া-মুড়ি খেয়ে তারা বাঁচতে পারবে না। আর শিশু ও বৃদ্ধরা আরও কষ্টে রয়েছে। সরকারের সকল শক্তি ব্যবহার করে এই মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান করছি। আমরা দলের পক্ষে থেকে আক্রান্ত সবগুলো জেলা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করব। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা আমাদের সম্মিলিতভাবেই করতে হবে। ফ্যাসিবাদ পতনের পরে এটা আমাদের জন্য পরীক্ষা যে, আমরা একে-অপরের পাশে কতটা জাতীয় ঐক্য ও সংহতি তৈরি করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারব।
এসময় ত্রাণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, জিলু খান, আনিসুর রহামন মুন্না, যুবঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নেওয়াজ খান বাপ্পি, সোহাগ, ফেনী জেলার শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।