ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বন্যা দুর্গত এলাকা পরির্দশন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা যাচ্ছেন আগামীকাল।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মুফতি রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বাঁধ খুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ভারতের কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ জানায়নি। এর মধ্য দিয়ে বিগত সরকারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী ভারত সরকারের প্রতি নতজানু নীতি নিয়ে চলছে কিনা, তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে ৫৪টি নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করছে ভারত। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়ে মরুকরণের ঝুঁকিতে পড়ছে। তেমনি বর্ষা মৌসুমে বাঁধের গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে মারছে ভারত।
ভারতের এ পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দেওয়ার দাবি জানিয়ে পীর সাহেব বলেন, দেশবাসীকে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের এ আমির বলেন, ফেনী, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়িসহ ১০ জেলায় আকস্মিক বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তাছাড়া বন্যাকবলিত জেলাগুলোকে উপদ্রুত এলাকা ঘোষণা করে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বানভাসী মানুষকে উদ্ধার, নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া ও পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান পীর সাহেব চরমোনাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের প্রায় হাজারের ওপরে স্বেচ্ছাসেবক ত্রাণ তৎপরতা এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দুর্গত এলাকা পরির্দশন ও ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় তার সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।