‘জাসদের কয়েকজন শীর্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা আইনসম্মত, আইনসঙ্গত, তথ্যপ্রমাণ সম্বলিত ও যুক্তিযুক্ত নয়’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দলের পক্ষ থেকে জাসদ দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লোকমান আহমেদসহ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।
পাশাপাশি দলের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নাম হত্যা মামলায় যুক্ত করার আগে, প্রাথমিক তদন্ত করার জন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাসদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রআন্দোলনে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, পূর্ববর্তী সরকার সমর্থিত অস্রধারী, সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে নিহতদের হত্যার দায় চাপিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
যার প্রেক্ষিতে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা হত্যার অভিযোগ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে, অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চায় যে, দেশে দীর্ঘদিনের দ্বি-মেরুকৃত বিভাজিত রাজনীতিতে হাসানুল হক ইনু বা দলগতভাবে একটি রাজনৈতিক পক্ষের।
এদিকে একটি রাজনৈতিক মেরুতে অবস্থানে থাকলেও কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শুরু থেকেই এই আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে কোনো বক্তব্য, বিবৃতি এবং অবস্থান গ্রহণ করেননি।
উল্লেখ্য, পুলিশের গুলিতে রংপুরের আবু সাঈদসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা এবং তদন্ত করে পুলিশ বাহিনীর দায়ী সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন দলের সভাপতি।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি সুস্পষ্টভাবে বলছে যে, সে সময়ে সংঘটিত হত্যার ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে সে সময় জাসদের নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর উপর প্রশাসনিক ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব ফলানোর সুযোগই ছিল না।
এমনকি তৎকালীন সরকার সমর্থিত অস্রধারী, সন্ত্রাসীদের উপর তাদের কোনো রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ ছিল না। কারণ হাসানুল হক ইনু, লোকমান আহমেদ কখনই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক নেতা ছিলেন না।