দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচারসহ আট দফা দাবি জানিয়ে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মাকরলিপি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে এ স্মারকলিপি জমা দেন অ্যাডভোকেট নুরতাজ আরা ঐশী ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের সন্তান বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম। এ ছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কলমিলতা বাজারসংক্রান্ত ৫৩ বছরের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য ৫ হাজার কোটি টাকা প্রদানের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। বুধবার (২১ আগস্ট) এ আবেদন করা হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের সন্তান বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে ঘোষিত ৮ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানাভিত্তিক তালিকা করে শীর্ষ ১০ ঘটনাকে ৪৫ দিনের মধ্যে সমাধান করা; ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির ওপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করা; সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএল’র গৃহীত পুনর্বাসন প্রকল্পসহ অনুরূপ ১০০টি প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে চালু করা; ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের তালিকা করে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করা; ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা; স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বে এক শতাংশ ভোটারদের সমর্থন নেয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করা এবং শেখ হাসিনার নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করা।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ ৮ দফা দাবি আদায়ে গত ১৪ আগস্ট থেকে সপ্তাহব্যাপী ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে আসে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করে। সবশেষ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করল।