প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার (২১ আগস্ট) বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাজেরো জীপে চড়ে রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান তিনি। এ সময় ফিরোজায় উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ‘বাসায় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওনাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কাজও চলছে।’
এর আগে খালেদা জিয়া হাসপাতাল ছাড়ার সময় সেখানে ডা. জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার পথে সড়কের দুই ধারে হাজার হাজার নেতা-কর্মী করতালি ও মুহুর্মুহু স্লোগান দিয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানায়। যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িকে কর্ডন করে গুলশানের বাসায় নিয়ে আসে।
ফিরোজায় ‘হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় গত ৮ জুলাই ভোররাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন হাসপাতালে থেকে স্থায়ী মুক্তির সুসংবাদ পান বেগম জিয়া। এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ারের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার হৃদযন্ত্রে বসানো হয় পেসমেকার। চিকিৎসা শেষে গত ২ জুলাই হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসের পাশাপাশি ডায়াবেটিস, আর্থ্রারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত চার বছরে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচারও করা হয়।
মন্তব্য করুন