কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত কর্মীদের সংখ্যা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথসভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির ১৯৮ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বলে দাবি করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন আন্দোলনে প্রায় দুই হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৯ নেতাকর্মী শাহাদাতবরণ করেছেন বলে জানায় সংগঠনটি। বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী ছাত্র-জনতাকে একটি শোকাবহ খবর জানাতে হচ্ছে। এই আন্দোলনে আমাদের ৪৯ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আন্দোলনে হাজারের অধিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। আমি আমাদের ছাত্রদলের ৪৯ শহীদসহ সব শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌসের প্রার্থনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ২০০৭ সাল থেকে অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গণতান্ত্রিক সংগ্রামে আমাদের অসংখ্য সহযোদ্ধা গুম, খুন, ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে, আয়নাঘরে বন্দি হয়েছে। রিমান্ডে, কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শত নির্যাতনের পরও আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত ছিল। বিগত ষোল বছরে আমরা একটি দিনের জন্যও আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে যাইনি।