গুম-খুন এবং গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করেছিলেন অভিযোগ করে সকল হত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি জানান তিনি।
পিলখানায় সেনা-গণহত্যা, ২৮ অক্টোবর গণহত্যা (লগি-বৈঠা), শাপলা চত্বরে গণহত্যা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, গত পনের বছর আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীর অগণিত মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। অন্যায়ভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। অন্য রাজনৈতিক দলেরও বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
শুধু তাই নয়, গত পনের বছরে দেশের মানুষ ঘরে-বাহিরে শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। গুম-খুন এবং গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পরিচালনা করেছিলেন। দেশের সকল হত্যা হয়েছে পার্শ্ববর্তী একটি দেশের পরিকল্পনায় ও শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে। সকল হত্যার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফেরত এনে বিচার কাজ সম্পন্ন করুন। জনগণের দাবি এখন শেখ হাসিনার বিচার করা।
সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, গত পনের বছর বাংলাদেশ রক্তের স্রোতের ওপর পরিচালিত হয়েছে। একটি দানবীয় স্বৈরশাসক বাংলাদেশকে গণহত্যা ও গুম-খুনের রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। আমরা সেই দানবীয় খুনি শেখ হাসিনার বিচার চাই। অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত এনে দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পিলখানা গণহত্যা, ২৮ অক্টোবর গণহত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে গণহত্যার হুকুমদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে হতে হবে। সকল গণহত্যার দায়ে এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ হবে শান্তির বাংলাদেশ।
যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন- ১২ দলীয় জোটভুক্ত বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, হাজী মো. হাসমত উল্লাহ, জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভুঁইয়া, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুস সালাম, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, জাগপা ঢাকা মহানগর নেতা আশরাফুল ইসলাম হাসু, নাসির উদ্দীন, আসাদুজ্জামান বাবুল, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন