দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরদের গ্রেপ্তার ও বিচারসহ আট দফা দাবিতে রাজধানীতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ।
সপ্তাহব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতীকী অনশন করেন সংগঠনের নেতারা।
অনশন থেকে আন্দোলনকারীরা ৮ দফা দাবি আদায়ে দেশবাসীর সমর্থন চান। এ সময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাতনি অ্যাডভোকেট নুরতাজ আরা ঐশী অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানাভিত্তিক তালিকা করে শীর্ষ ১০টি ঘটনা ৪৫ দিনের মধ্যে সমাধান করতে হবে। ভাষানটেক বস্তি পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির ওপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে। সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএল-এর গৃহীত পুনর্বাসন প্রকল্পসহ অনুরূপ ১০০টি প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে চালু করতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের তালিকা করে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে হবে। ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন নেওয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারের নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করে অন্তর্বর্তী সরকারের ইমেজ বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রতীকী অনশন কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, ৮ দফা দাবি আদায়ে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার দুপুর ২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা নুরতাজ আরা ঐশী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিমকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরাসহ বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।