২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি করেছে খেলাফত মজলিস।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান খেলাফতে মজলিস। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন খেলাফত মজলিসের দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল হাফিজ খসরু।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানার বিয়োগান্তক ঘটনাটি যে দেশ ও দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল তা ভিক্টিমদের কথায় আবারও উঠে এসেছে।
সেদিন ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সাহসী সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন সেনা পরিবারের সদস্য ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে এত বেশি সংখ্যক সেনা কর্মকর্তার নিহতের ঘটনা আর কখনো ঘটেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়- স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতার শুরুতেই এ ঘটনা সংঘটিত হয়। যার কারণে প্রকৃত দোষীদের আড়াল করে এতদিন যে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে তা সঠিক ছিল না।
এ ঘটনার সঠিক বিচার চাইতে গিয়ে অনেক দেশপ্রেমিক ও সাহসী সেনা কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন। অনেক কর্মকর্তা জেল ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিডিআরেরও নির্দোষ অনেক সদস্য চাকরি হারিয়েছেন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কাছাকাছি আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
অবিলম্বে এই কমিশন গঠন করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন