বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে দেখা করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টার পরপরই বিএনপির মহাসচিব নয়াপল্টনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের অফিসে যান। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে দুজনে কথা বলেন। পরে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে কুশল বিনিময় করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : আ.লীগের সমাবেশ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াবাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল বিএনপিসহ দলটির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীদের। তবে হঠাৎ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বিএনপি ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরে যেতে বলে পুলিশ। তবে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন নিয়ে অনড় অবস্থানের কথা জানায়। নয়াবাজারে কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে নিজ কার্যালয়ে তাকে দিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন : বিএনপির অপরাজনীতি ঠেকাতে মাঠে থাকবে আ.লীগ : তথ্যমন্ত্রী
পরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় আমার মাথা ফেটে যায় এবং রক্তাক্ত হয়ে পড়ে যাই। পরে কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত বেধড়ক পিটিয়েছে। সেখান থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে রাজারবাগের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়েছে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়েও নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে অফিসে দিয়ে গেল।’
শনিবার (২৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজধানীতে যে অত্যাচার-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে আমরা আগামী পরশু সোমবার সারা দেশে, সব মহানগর, জেলা সদরে জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। রোববারই আমরা প্রতিবাদের দিন হিসেবে পালনের কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি, সরকারি দল রাজপথে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা তাই তাদের মতো একই দিনে কর্মসূচি না দিয়ে সংকট সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করব, গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হবে না।’
আরও পড়ুন : সরকারের একগুঁয়েমি আচরণ দেশে ফের সংঘাতের পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে: ইউট্যাব
এদিকে ‘গতকাল শনিবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শনিবারের অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছেন ৫০০ জন এবং ১২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১৯ মে হতে অদ্যাবধি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মোট মামলা ৩২০টি, মোট গ্রেপ্তার ১ হাজার ৫১৪ জন, মোট আসামি প্রায় ১ হাজার ৪৫০ জনেরও অধিক নেতাকর্মী।’
মন্তব্য করুন