শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে সম্প্রীতি রক্ষা, লুটপাট ও দখলদারিত্ব বন্ধ তথা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। ইতোমধ্যে দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস্ পার্টির (বিডিপিপি) উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বড় কিছু অর্জন করতে হলে ছোট কিছু হারাতে হয় এবং হারানোর সেই উদাহরণ আমরা ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে সৃষ্টি করেছি। আমরা আমাদের দলের একজন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ স্থগিত করেছি। দলের চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতাল থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একই ধরনের বার্তা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২১৭ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।
আলাল বলেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি, যেন দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসে। আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের পাশে রয়েছি। আমরা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাচ্ছি, সাধ্যমতো তাদের সহযোগিতা করছি। দলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না। আমরা শান্তি-সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই। সবাইকে নিয়ে ধৈর্য সহকারে একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হবে।
অনুষ্ঠানে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ব্যর্থ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা বাতিল করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানান বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পিপলস্ পার্টির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাদের। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নতুন সেই ইসির অধীনে দ্রুত একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন-বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান, বিডিপিপির রফিকুল ইসলাম খান রনো, পারভীন নাসের খান ভাসানী, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন