ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অন্তর্বর্তী সরকারের অস্তিত্ব রক্ষার্থে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে যারা নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করাসহ ৮ দফা দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র পার্টি ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাতনি অ্যাডভোকেট নুরতাজ আরা ঐশী অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- ১. দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী স্বৈরাচারী সরকারের সকল দোসরদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে। ২. শেখ হাসিনার জুলুমের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের থানাভিত্তিক তালিকা প্রস্তুত করে টপ টেন ঘটনাকে ৪৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৩. শেখ হাসিনার নির্যাতনের বিষয়গুলো জাতীয়ভাবে প্রচার করে অন্তর্বর্তী সরকারকে ইমেজ বিল্ডিং করতে হবে। ৪. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের পূর্বে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন নেয়ার যে বিধান রয়েছে তা বাতিল করতে হবে। ৫. ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প ও কলমিলতা বাজারের বিষয়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দীর্ঘদিনের ঝুলিয়ে রাখা দাবির বিষয়টির উপর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত সমাধান করতে হবে। ৬. সরকারি টাকা ছাড়াই সাধারণ বস্তিবাসী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য এনএসপিডিএল’র গৃহীত পুনর্বাসন প্রকল্পসহ কমপক্ষে ১০০টি প্রকল্প জরুরি ভিত্তিতে চালু করতে হবে। ৭. ছাত্র-জনতার চলমান আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সেই তালিকা করে তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা প্রদান করতে হবে এবং প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন করতে হবে। ৮. ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী, লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে নুরতাজ আরা ঐশী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভিন্নমত ও বিরোধী দলকে নিঃশেষ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদরে শেষ রক্ষা হয়নি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। এবার তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
এ সময় সমাবেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদেরের সন্তান মো. আব্দুর রহিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুর রহিম বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান।