মাদ্রাসা শিক্ষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, আমরা একটা দুঃশাসন থেকে মুক্ত হয়ে সুশাসনের দিকে যাত্রা শুরু করেছি মাত্র। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র চলছে। এই সরকারের সামনে ১৬ বছরের জঞ্জাল সরানোর চ্যালেঞ্জ।
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে ভয়াবহ অবস্থা। এটা পরিচ্ছন্ন করতে সময় লাগবে। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্র গঠনে এক বছরও লাগতে পারে, এর বেশিও লাগতে পারে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শাহাদাত বরণকারীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা কামনা এবং নৈরাজ্য ও অপতৎপরতা রোধে শিক্ষক-কর্মচারীদের করণীয় বিষয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এর আগে এ এম এম বাহাউদ্দীনকে সভাপতি ও গাজীপুর জেলাধীন শ্রীপুর ভাংনাহাটি রহমানীয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীকে মহাসচিব করে ২০৭ সদস্যের জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের জাতীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সভায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি বলেন, মাদরাসার ছাত্র কত হলো, কতো আয় হলো এটি দিয়ে সাফল্য নির্ধারণ হয় না। কতজন সঠিক লোক তৈরি হলো, কতজন নাহিদ ও আসিফ তৈরি করতে পেরেছেন সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। মাদরাসা থেকে নাহিদ-আসিফের মতো সূর্যসন্তান তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু লোক শুধু বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, চাকরির নিশ্চয়তার পেছনে ছুটোছুটি করছেন। জমিয়াতুল মোদারের্ছীন দেশের আলেম-ওলামাগণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেতন-ভাতার ‘বার্গেনিং এজেন্ট’ হওয়ার জন্য নয়। এটা পীর-মাশায়েখদের সংগঠন। এদেশে যাতে ইসলামী সমাজ বিনির্মান হয়, দেশটা যাতে সঠিকভাবে ইসলামি নীতি অনুসরণ করে চলে এটার জন্য তারা কাজ করেছিলেন।
এ সময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সারা দুনিয়াতে উদাহরণ তৈরি করলেও আলেমদের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকায় দু:খ প্রকাশ করেন জমিয়াত সভাপতি।
জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজীর পরিচালনায় এতে দোয়া পরিচালনা করেন সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান।
বক্তব্য রাখেন- ছারছীনা দারুসছুন্নাহ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রুহুল আমীন আফসারী, ঝালকাঠী নেছারাবাদ দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা মোঃ খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, মদীনাতুল উলুম ইসলামি মিশন বালক কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, জৌনপুর দরবার শরীফের পীর সাহেব ও আদর্শ ইসলামি মিশন কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, শাহ জালাল ইয়াকুবিয়া দারুসসুন্নাহ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. কমরউদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. আ খ ম, আবুবক্কর সিদ্দিক, বিশ্বনাথ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নোমান আহমেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন