ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশে গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. ইউনূসের ওপর ছাত্র-জনতার অনেক বিশ্বাস রয়েছে, সেই সঙ্গে রয়েছে অনেক আশা। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে তিনি ভূমিকা রাখবে এমন চাওয়া সবার।
নতুন এই সরকারের কাছে শুধু সাধারণ জনতা না বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের রয়েছে নানা চাওয়া। এমন কিছু চাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার পর ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ড. ইউনূস সরকারের নিকট অনেকই অনেক কিছু চাইছে! আমারতো কিছু চাওয়া উচিত। আমি চাইছি-
১। বিনা ভোট, রাতের ভোট এবং ডামি ভোটের ফলাফল বাতিল করা হউক ! ২। উল্লেখিত ভোটের ভুয়া এমপি-মন্ত্রীদেরকে দেওয়া সকল বেতন ভাতা, গাড়ি - বাড়ি, প্লট ফেরত নেওয়া হউক! ৩। তিনটি নির্বাচন যারা করেছে সেই নির্বাচন কমিশনের কর্তা এবং সেই সময়ের ডিসি-এসপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক!
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মূলত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে ৭ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।
৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৪ উপদেষ্টা শপথ নেন। বাকি তিনজন দেশের বাইরে থাকায় তারা ওই সময় শপথ নিতে পারেননি। পরবর্তীতে রোববার (১১ আগস্ট) আরও দুই উপদেষ্টা শপথ নেন। ১৩ আগস্ট শপথ নেন আরেক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উপদেষ্টারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছেন। এর মধ্যেই দেশের প্রায় সব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন সবার দৃষ্টি হলো দেশে নির্বাচন কবে হবে। এমন পরিস্থিতিতে এখনো নির্দিষ্ট করে কেউ কোনো সময়ের কথা বলতে না পারলেও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছে অনেকেই।
এছাড়াও নতুন সরকারকে নিয়েও চলছে নানা কথা। প্রশ্ন উঠছে কূটনীতিক সম্পর্ক নিয়ে। তবে প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে ভিন্ন বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও চীনের মতো দেশগুলো।
বাংলাদেশের সঙ্গে বেইজিং কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, আগের মতোই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাবে না চীন। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, শান্তিশৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রও নতুন এই সরকারকে স্বাগত একসঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন