জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আওতাধীন ঘাট শ্রমিক ফেডারেশন সদরঘাট টার্মিনাল দখল করেছে বলে ঘাট শ্রমিক লীগ যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ঘাট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুমন ভূইয়া এই জিডি করেন।
জিডিতে বলা হয়, ৩৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মীর মো. জাবের হোসেন পাপন ও মাঝি শ্রমিক লীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন মিঠুকে বিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দুজন নিজেরা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পার্কিং ইয়ার্ডের পার্কিং চার্চ আদায় করে আসছে। নিজেরা চাঁদাবাজি করলেও শ্রমিক দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্য ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সুমন ভূইয়া জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর সদরঘাট শ্রমিক লীগ সদরঘাটে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে আসছে। ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর তারা আতঙ্ক থেকেই শ্রমিক দলের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের চাঁদাবাজি অব্যাহত রাখতেই আমাদের নিয়ে মিথ্যাচার করছে। বিএনপি তথা শ্রমিক দলের কেউ সদরঘাটে চাঁদাবাজি অথবা কোনো দখলে আসেননি। ঘাট শ্রমিক লীগ অপপ্রচার করে শ্রমিক দলকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে। এই ঘাট শ্রমিক লীগের অবাধ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পুরো সদরঘাট টার্মিনাল এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, অগণিত ছাত্রজনতা রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বৈরশাসন মুক্ত হয়েছে। আমরা জানি, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী বাকশালী শাসনে রক্তাক্ত হয়েছেন। তারপরও গণতন্ত্রের স্বার্থে, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বার্থে দেশে কোনো অরাজকতা করতে দেওয়া হবে না। যারা অন্যায় অবিচার করেছে আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের বিচার হবে।
তিনি বলেন, শ্রমিক দলের কোনো নেতা যদি কোনো চাঁদাবাজি এবং দখল বাণিজ্য করেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত সকলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজদের কোনো ঠাঁই নাই।
মন্তব্য করুন