কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে পতিত আওয়ামী লীগের কেউ দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরের রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিদেশে থাকা তার দুর্নীতিবাজ ছেলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে দেশে কোনোভাবে নৈরাজ্য, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানো যায় কি না। বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র করছে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। আর দেশে থাকা স্বৈরাচারের দোসররা তাদের সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তবে, আমরা তাদের আমরা শক্ত হাতে রুখে দিব। একদিকে এই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল আরেক দিকে এই দেশের ১৮ কোটি মানুষ। আগামীতে কোনো দিবসকে কেন্দ্র করে দেশের ভেতর কোনো আওয়ামী সন্ত্রাসী কুচক্রী মহল কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বা কোনো ধরনের অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কোনোভাববেই মেনে নেওয়া হবেনা। কঠোর হাতে রুখে দেওয়ারও ঘোষণা দেন বিএনপির এই তরুণ নেতা।
এসময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের হাসিনাই তো নাই আপনাদের রেখে পালিয়ে গেছে, আপানারা এখন তার ষড়যন্ত্রে দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে কি করবেন।
অতীতে আওয়ামী লীগের লোকজন দেশে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করেছে উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনে বিএনপির সাবেক এই মেয়র প্রার্থী বলেন, আগামীর বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না। উপস্থিত ব্যবসায়ীদের নির্ভয়ের ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসায়ীদের নিরপত্তা নিশ্চিতে তাদের পাশে থাকার নির্দেশ দেন।
একইসাথে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দায়িত্ব দিয়েছেন আপনাদের পাশে থাকার জন্য। আর আপনাদের সাথে নিয়ে দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য। কোন দলীয় পরিচয়ে যদি কেউ এসে আপনাদের কোনো ধরনের ডিসটার্ব করে অথবা আপনাদের কাছে চাদা দাবি করে তাহলে আপনারা সবাই মিলে তা রুখে দিবেন।
পরে স্থানীয় নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে সদরঘাট এলাকা প্রদক্ষিণ করেন এই বিএনপির নেতা। সেখানে আরেক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে হওয়া সকল গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং শাস্তি নিশ্চিত করব। শাস্তি না পর্যন্ত বিচারের দাবিতে তিনি মাঠে থাকারও ঘোষণা দেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর এদেশের ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা যে সফলতা বা স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দেশ রক্ষায় নিজেদের ত্যাগকে একটি আধুনিক ও উন্নত গণতান্ত্রিক সরকার গঠনে উৎসর্গ করতে হবে। বিএনপির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক। জনগণের প্রত্যাশাকে সম্মান জানিয়ে নিজেদের লোভ-হিংসা পরিত্যাগ করতে হবে। বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিএনপি নেতাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান করছি।
এ সময়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সভাপতি সুমন ভূইয়াসহ স্থানীয় বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন