ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা সরকারের নিয়ন্ত্রণ আনাসহ জনজীবন স্বাভাবিক করে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির মধ্য দিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও সংকট থেকে উত্তরণে ১৪ প্রস্তাবনা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
সোমবার (১২ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রস্তাবনা তুলে ধরে গণঅধিকার পরিষদ।
দল গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তাবনাগুলো-
১. বীর শহীদদের সঠিক তালিকা করে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া। প্রতিটা পরিবার থেকে একজনকে চাকরি প্রদান। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
২. দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দলবাজ অফিসারদের চাকরিচ্যুত করে প্রতিটি থানা/উপজেলায় সৎ-সাহসী, দক্ষ ও পেশাদার নতুন ওসি, ইউএনও এবং জেলায় এসপি, ডিসি নিয়োগ।
৩. গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও নতুন সংবিধান রচনা করা।
৪. বিচারবিভাগ, প্রশাসনসহ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনীতিকরণ ও দুর্বৃত্তায়নে জড়িতদের চাকরিচ্যুত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শাস্তি নিশ্চিত করা।
৫. বিগত ১৫ বছরে ভিন্নমত নির্মূল গুম, খুন, পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরের গণহত্যাসহ সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শেষ করা।
৬. গণহত্যায় জড়িত থাকা ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
৭. চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, ব্যাংক-শেয়ারবাজার লুট, অর্থ পাচার ও বাজার সিন্ডিকেটে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা।
৮. দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বাজার তদারকিতে প্রশাসন ও ছাত্র-নাগরিকদের সমন্বয়ে বিশেষ টাস্কফোর্স করে নজরদারি করা।
৯. ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মামলাসহ গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক উদ্দেশে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও বন্দিদের মুক্তি। ১০. ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতা ও ফ্যাসিস্টের সহযোগী সাবেক এমপি, মন্ত্রী, আমলাসহ সকল সহযোগীদের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা।
১১. দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের শর্ত যাচাইসহ ইসিতে আবেদনকারী দলগুলোর মধ্যে শর্ত পূরণকারী নতুন দলসমূহকে নিবন্ধন প্রদান।
১২. সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও অনতিবিলম্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির বিকাশে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্র সংসদ চালু করা।
১৩. বিশেষ ক্ষমতা আইন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল নিপীড়নমূলক আইন বিলুপ্ত করা।
১৪. দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রদান।
মন্তব্য করুন