নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে অর্থনীতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়েছে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে অসংখ্য মানুষকে গুম-খুন করেছে। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করেও শত শত সাধারণ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। হাজার হাজার মানুষকে আহত ও পঙ্গু করেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা হাসিনা ও তার দোসরদের শাস্তির পথ সুগম করেছে। এ বিজয় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া সম্ভব ছিল না। এ গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা ও তার দোসররা ছাড়া ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই অংশগ্রহণ ছিল। আমরা সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানাই। শহিদদের জন্য আল্লাহর কাছে জান্নাত কামনা করি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে আয়োজিত খেলাফত মজলিসের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। শেখ হাসিনা চেয়েছিল সেনাবাহিনী দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকবে। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী রাজি হয়নি। আলহামদুলিল্লাহ, দেশের মানুষ আজ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছে। এখন আমাদের দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সময় এসেছে। খুনিদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ছাত্র-জনতার গণদাবিগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার কার্যক্রম শুরু করবে আমরা প্রত্যাশা করি।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় নেতা ফেরদাউস বিন ইসহাক, জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, কাজী মিনহাজুল আলম, সাইফ উদ্দিন আহমদ খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ইলিয়াস আহমদ, শ্রমিক মজলিসের আবুল কালাম, আলী আকরাম, দেওয়ান আবদুল হান্নান, ইসলামী যুব মজলিসের মুফতি শাব্বির আহমদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন