বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কাজ করার লক্ষ্যে পিপলস লিবারেশন প্ল্যাটফর্ম বা গণমুক্তি মঞ্চ গঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বৈরাচারী দুর্বৃত্তমহল থেকে দেশকে পুনরুদ্ধার করার পর জনগণের সম্মিলিত কণ্ঠস্বরকে প্রতিফলিত করে বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সহায়তা করতে এই প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণমুক্তি মঞ্চ উল্লেখ করে, ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার ওপর ভিত্তি করে একটি সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশের জনগণ।
তারা বলেন, ‘ভারত রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের স্পষ্ট বার্তা - বাংলাদেশের জনগণ নিজেদের দেশ শাসনে সম্পূর্ণ সক্ষম এবং কোনো ধরনের বহিরাগত হস্তক্ষেপ আমাদের কাম্য নয়। কোনো উগ্রবাদী শক্তিকে আমরা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেব না। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা স্বীকার করি।’
গণমুক্তি মঞ্চ উল্লেখ করে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, শুধু সহযোগিতার মাধ্যমেই একটি নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া অর্জন করা যেতে পারে। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের জনগণের সঙ্গে পারস্পরিক নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সহযোগিতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে আমরা একটি স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তুলতে পারি।’
পিপলস লিবারেশন প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের নেতাদের মধ্যে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহরিয়ার শুভ, লেখক ও শিক্ষাবিদ সলিমুল্লাহ খান, মানবাধিকার কর্মী শারমিন মুরশিদ, ফটো-সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট শহিদুল আলম, আইনজীবী সারা হোসেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ এন এম মুনিরুজ্জামান, নির্মাতা আশফাক নিপুন, শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ শফিকুর রহমান, ইসলামিক পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মুহম্মদ নওশাদ জমির, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ নিপুন রায় চৌধুরী, মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সাকিব প্রত্যয়, নকমা, মান্দি সম্প্রদায়ের ওয়ারি নকরেক মারাক।
মন্তব্য করুন