রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা জামালপুর মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে ঘটে এই ঘটনা।
জামালপুর মাদারগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু জানান, এ ঘটনায় ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর আহতরা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া শেষে মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল খানের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা বসে ছিলাম। ১৫-২০ জন লাঠি নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এই হামলায় আমাদের ৪-৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন। লাঠির আঘাতে আমার দুই হাত কেটে গেছে।
তিনি বলেন, আগে থেকেই আমাদের বনিবনা ছিল না। কর্মীদের রক্ষা করতে গেলে তারা আমার ওপর হামলা করে।
এদিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে বের হওয়ার পর রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- মো. আরিফুল (১৮), মো. জোবায়ের (১৮), মো. রনি (৩২), মো. মোবাশ্বের (১৮)। নিহতের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
মতিঝিল বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান কালবেলাকে বলেন, গোলাপশাহ মাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে আহত একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
এ ঘটনায় অন্য যারা আহত আছেন তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানে পুলিশ সদস্যরা আহতদের সঙ্গে কথা বলার পর ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিন দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন।
ভোর থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা আসেন।
একইভাবে দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। জুমার নামাজের পরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
মন্তব্য করুন