বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সম্পদ লুটেরা, ভুমিদূস্যরা আজ বলছে আগামীতে দরকার শেখ হাসিনার সরকার। যারা গণতন্ত্রকামী, যাদের মাঝে দেশপ্রেম আছে তারা এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তিনি বলেন, অনেকে বলেন- আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়লে লক্ষাধিক লোক মারা যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতা না ছাড়লে তো দেশের ১৮ কোটি মানুষই মারা যাবে। অতএব, ক্ষমতা ছেড়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন, নিজেরা মুক্তি পান, দেশ ও জাতিকে মুক্তি দেন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মানুষের দল। এখানে কোনো কুকুর নেই। সুতরাং অবিলম্বে জনগণের দাবি মেনে নেন। পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। গণতন্ত্রের পথে যাবেন না গণতন্ত্রের পথের বাইরে যাবেন? চায়না ও ভারত আপনাকে টাকা দিতে পারে। কিন্তু ভোট তো দিবেন জনগণ। কারণ তারাই দেশের মালিক।
তিনি বলেন, যে দেশের আদালত প্রধানমন্ত্রীর হাতের মুঠোয়, যে দেশের প্রশাসন এক ব্যক্তির হাতে জিম্মি, যে দেশের গণতন্ত্র একজনের জন্য জিম্মি তা থেকে উদ্ধার হতে হলে প্রয়োজন রাজপথ। এই রাজপথ ছাড়া যাবে না।
আরও পড়ুন : সারাদেশের মানুষ আ.লীগকে অনাস্থা দিয়েছে : ড. মঈন খান
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সব শক্তির উৎস কর্মীরা। আপনারা আমাদের নতুন মুক্তিযোদ্ধা। আপনারা যারা ঢাকায় আছেন তারা ঢাকায়ই থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরিজন কোথায় আছে সবাই জানে। ক্ষমতা হারালে আপনি কোথায় যাবেন ভাবতে থাকেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করলে তা ফেরত দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ ভোর থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা আসেন। যদিও তাদের অভিযোগ রয়েছে, ঢাকার প্রবেশমুখে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। সেই বাধা উপেক্ষা করেই হেঁটে হেঁটে নয়াপল্টনে জড়ো হন তারা।
এদিকে, একই সময়ে শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করছে দলটি। সেখানেও জড়ো হয়েছেন লাখো নেতাকর্মী। রাজনৈতিক এই দুই দলের সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোর থেকেই মোড়ে মোড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নিরাপত্তা। ঢাকার প্রবেশমুখে বসানো হয়েছিল চেকপোস্ট। এ ছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্স।
মন্তব্য করুন