শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে বলে দাবি করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে পুরানো পল্টনে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের উদ্যোগে এক সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেখক শিবির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভাশিস চাকমা।
ফয়জুল হাকিম বলেন, সফল ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উচ্ছেদের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে অভিনন্দন জানায়। অবিলম্বে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার, জনগণের সরকার, জনগণের সংবিধান, জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। ছাত্র গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে ফেরত এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি।
কাজী ইকবাল বলেন, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের চাপে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর লুটেরা ব্যবসায়ী দুর্নীতিবাজ সামরিক-বেসামরিক আমলা, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক পান্ডাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
দেলোয়ার হোসেন ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি লাল সালাম জানিয়ে বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে শোষণ বৈষম্য নির্যাতন মুক্ত করার সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণিকে এগিয়ে আসতে হবে। সালমান এফ রহমান, এস আলম, আহমেদ আকবর সোবহান, আজিজ খান, মোস্তফা কামাল প্রভৃতি লুটেরা ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
শুভাশিস চাকমা ছাত্র গণঅভ্যুত্থানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের চাপে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফেরত পাওয়া শুরু হয়েছে। আজ ৭ আগস্ট জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সেন্ট্রাল ওয়ার্কিং টিমের সদস্য ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমাকে চট্টগ্রামে ফেরত পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার কাঁচপুর থেকে রাষ্ট্রীয় সংস্থা কর্তৃক তিনি গুমের শিকার হয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন