কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে দেশে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ আরেকবার উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করে ১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত শত শহিদদের রক্তস্নাত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বুধবার (০৭ আগস্ট) দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা তারা।
ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান স্বাক্ষরিক বিবৃতিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, দেশত্যাগ ও কর্তৃত্ববাদী শাসন অবসানের মধ্য দিয়ে সকল ধরনের বৈষম্য নিরসন ও স্বাধীনতার ঘোষণার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ আরেকবার উন্মোচিত হলো।
বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের ধারায় অসাম্প্রদায়িক, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাদের ইতিহাস নির্ধারিত ভূমিকা রাখবে।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, অতীতেও দক্ষিণপন্থা ও সাম্রাজ্যবাদের অনুগামী শক্তি একই ধরনের কর্তৃত্ববাদী শাসন, অসাম্য ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠা করে জনগণের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করেছিল। এবারও ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের সুযোগে সেই একই শক্তি সারা দেশে ওয়ার্কার্স পার্টিসহ রাজনৈতিক দলের অফিস, বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুট, সরকারি স্থাপনাসমূহের ধ্বংস সাধন, থানা লুট ও পুলিশ সদস্যদের হত্যা এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘু সনাতন ধর্মালম্বি ও আহমেদিয়াদের বাড়িঘর, উপাসনা প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ পরিচালনা করছে। সহায় সম্পদ লুট করছে ও জমি-জিরাত বাসস্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেনা প্রধান আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিলেও কোথায় সেটা লক্ষ্য করা যায় না। এই অবস্থায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয় যাতে লক্ষ্যভ্রষ্ট না হয় তার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে সজাগ ও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।
একই সঙ্গে নৈরাজ্য দূর করা, হত্যা-হামলা-ভাঙচুর বন্ধ করা, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ বন্ধ ও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সকল বাম প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শক্তির প্রতি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
মন্তব্য করুন