শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় হতাহত, নাশকতা ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় সরকার গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিশনের তদন্ত কোনোভাবেই বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে দাবি করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
ছয়দলীয় এই জোটের দাবি, সরকারের বিরুদ্ধেই এসব হত্যার অভিযোগ উঠেছে। প্রাণহানির ঘটনা আড়াল করতে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বকে বিভ্রান্ত করতে এ কমিশন গঠন করা হয়েছে। তদন্ত এবং বিচারের নামে কোনো ধরনের তামাশা দেশের জনগণ মেনে নেবে না।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি করা হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চের দাবি, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের প্রস্তাব অনুযায়ী একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সংঘটিত প্রাণহানির ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত এবং বিচার করতে হবে। এর বাইরে তদন্তের নামে কোনো ধরনের প্রহসন দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে সরকার। কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। এসব ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে সরকার দাবি করেছে, র্যাব হেলিকপ্টার থেকে কোনো গুলি করেনি। কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়েছে, সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে বিজিবি কিছু ফাঁকা গুলি করতে বাধ্য হয়েছিল, তা-ও একজন মাত্র, সবাই মিলে গুলি করেনি। এসব ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন- আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ হত্যাযজ্ঞ এবং ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। সরকার কীভাবে এই গণহত্যাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, তা এ ঘটনায় পরিষ্কার।
গণতন্ত্র মঞ্চ মনে করে, কোনো তৃতীয় পক্ষের কথা বলে এখন ছাত্র-জনতার দায় এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির প্রতি আবারও পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
মন্তব্য করুন