রিমান্ড শেষে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) মো. রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে সেতু ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে রাজধানীর বনানী থানার মামলায় দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে ছিলেন তিনি।
এ দিন পার্থকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ডিবি।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ২৫ জুলাই আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন।
জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
পরে তারা ভবনে হামলা, ভাঙচুর করে। সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে তা পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
মন্তব্য করুন