কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বলেছেন, গত এক সপ্তাহে অনেক শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও এরশাদ আমলেও এমন নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের নজির নেই। আমরা ছাত্রদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে সারা বিশ্বের কাছ থেকে এই নজিরবিহীন বর্বরতা আড়াল করা হচ্ছে। তাণ্ডবের প্রমাণ চাপা দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে ছাত্রদল।
তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন সফল হবে এবং হত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে পরিপত্র জারি করে সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল, ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওইসব গ্রেডের পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হলো।
এ পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটিকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরপর থেকেই সারা দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন। কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নানা স্থানে বিক্ষোভ করেন কোটাবিরোধীরা। ঢাবি ছাড়াও বিক্ষোভ হয় জাবি, জবি, রাবি, সাত কলেজসহ দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন কলেজে।
মন্তব্য করুন