কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত প্রবেশ করে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা নেই। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এরপর সেখানে বিএনপি-জামায়াত ঢুকেছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার যে কোটা বাতিল করেছিল, সেটি অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট রায় দিলেন সরকারের বিরুদ্ধে। আবার আন্দোলনও হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা নেই। এটি জানার পরও যারা আন্দোলন করছে, দুরভিসন্ধিমূলকভাবে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভুল বুঝিয়ে সেখানে সম্পৃক্ত করছে। এরপর সেখানে বিএনপি-জামায়াত ঢুকেছে। কোটা আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াত প্রবেশ করে কর্মসূচি ঠিক করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো সক্রিয়। এটি মানুষ বোঝে। তারা নির্বাচনের আগে সক্রিয় ছিল। বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের নির্বাচন পণ্ড করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। নির্বাচনের পরেও সরকার যেন বিশ্ববাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য না হয়, সেজন্য তারা সক্রিয় ছিল। সেই চেষ্টায় তারা ব্যর্থ হয়ে সক্রিয় হয়েছে দেশে একটি গণ্ডগোল পাকানোর জন্য। বিএনপি-জামায়াতের যেমন আন্দোলন করার কোনো ক্ষমতা নেই, ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের জনগণের কাছে যাওয়ারও কোনো ক্ষমতা নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল সারা দেশে যে নৈরাজ্য হয়েছে এর প্রধান কারণ বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম-রংপুরসহ সারা দেশে তারা লাঠিসোঁটা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নেমেছে। চট্টগ্রামে মানুষের রগ কেটেছে। রগকাটা বাহিনী হচ্ছে শিবির। চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রলীগের কর্মীদের ফেলে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে তিনজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন ছাত্রদল নেতা। ছাত্রদলের নেতা ওখানে গেলো কেন? তাহলে তারা ওখানে ঢুকেছে প্রমাণ হলো।
তিনি বলেন, ঢাকায় একজন পথচারী ও আরেকজন ছাত্র নিহত হয়েছে। গতকাল বিএনপি-জামায়াত চাচ্ছিল দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লাশ তৈরি হোক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা গতকাল সমাবেশ করেও কোনো কর্মসূচি দেয়নি। রাত সাড়ে ১২টায় কর্মসূচি ঘোষণা, গায়েবানা জানাজা ও মিছিল। তার মানে লাশের রাজনীতি। এর মানে, এই কর্মসূচি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নয়, বিএনপি-জামায়াতের পরামর্শে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা দেশকে বিএনপি-জামায়াতের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে অস্থিতিশীল করতে দেবো না।
মন্তব্য করুন