জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের সুযোগ আছে। তারা চাইলে তাদের বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে আলোচনা করে দরজা উন্মুক্ত করতে পারেন।
বুধবার (২৬ জুলাই) জয়পুরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাবেক সংসদ সদস্য, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্বাছ আলী মণ্ডলের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হুইপ বলেন, সংসদ থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের তুঘলকি সিদ্ধান্ত পরিকল্পিতভাবে সংকটের উদ্ভব ঘটিয়েছে। কিন্তু এখনো সংবিধানের ৫৫ দফা এবং ৫৬ দফার ১, ২, ৩ ও ৪ উপদফা অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির অংশগ্রহণের সুযোগ আছে। তবে, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক তৎকালীন বিরোধী দলের নেতাকে ফোন করার পর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে সেজন্য সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকে সরকারে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব নয়। তারা চাইলে তাদের বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে আলোচনা করে দরজা উন্মুক্ত করতে পারেন।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকারের অধীনে নয়। সংবিধান মোতাবেক নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো এখতিয়ার নেই নির্বাচন বিষয়ে কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার। এমনকি তপশিল ঘোষণার পর এক লাখ টাকার টেন্ডার আহ্বানের ক্ষমতাও সরকারের হাতে থাকবে না। সরকার কেবল রুটিন কাজকর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। বর্তমান নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে অব্যাহত থাকবে কেবল গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম ভাগে ১১৯ দফার ১ -এর ক, খ, গ, ঘ এবং ২ উপদফায় স্পষ্ট করে রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপূর্ণ দায়িত্ব, কর্তব্য ও ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত রয়েছে। ১২০ এবং ১২৬ দফায় নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ ও আনচ্যালেঞ্জড করা আছে। নির্বাচন কমিশন যেভাবে ইচ্ছা পোষণ করবেন, সেভাবে দায়িত্ব পালন করা প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীর কর্তব্য এবং কোনো কর্মচারী এর ব্যত্য়য় করলে নির্বাচন কমিশন আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। নির্বাচন কমিশনের আইনানুগ যে কোনো অভিপ্রায় পালন করতে সরকার বাধ্য।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুর রহমান রকেটের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা মোল্লা শামসুল আলম, মমিন আহমেদ চৌধুরী, এস এম সোলায়মান আলী, নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ।
মন্তব্য করুন