বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.), তার পরিবার ও সঙ্গীদের শাহাদাত বরণের স্মরণে ১০ মহররম ইতিহাসে এক করুণ ও বেদনাদায়ক দিন। দিবসটি আজও আমাদের গভীর দুঃখ ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তোলে। বিশ্ব মুসলিমসহ সারা মানবজাতিকে শোক ও বেদনায় মুহ্যমান করে তোলে। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ ন্যায় ও সত্যের বিজয়ের বার্তা দেয়। মানবিক সাম্য ও মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কারবালায় হজরত ইমাম হোসেন (রা.)’র নিজ পরিবার, ঘনিষ্ঠজন ও অনুচরবৃন্দ জালিমের হাতে শহীদ হন। তাই শহীদে কারবালার মূল বার্তা হচ্ছে- নিপীড়িতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের ধ্বংস স্তূপের ওপর আওয়ামী স্বৈরাচারের জুলুমের রাজত্বে জনগণ শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় বন্দি হয়ে আছে। বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে গুম, খুন, ক্রসফায়ার এখন রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। গত দেড় দশক ধরে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশ থেকে অদৃশ্য করা হয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের স্থায়ী ঠিকানা এখন কারাগারে। বিপুল জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আক্রোশের শিকার হয়ে বিগত ছয় বছর ধরে বন্দি রয়েছেন।
তিনি বলেন, কারবালার প্রান্তরে ইমাম বাহিনীর মহিমান্বিত আত্মত্যাগের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণ ও রাজনৈতিক দলের সংগ্রামী নেতাকর্মীরা দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় ও খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আশুরা ত্যাগ, নৈতিকতা ও আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয় এবং মজলুমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্য জাগিয়ে তোলে। ব্যক্তিগত কোনো অভিলাষ নয় বরং অবিচার, জবরদস্তি, মিথ্যা অহংকার ও আত্মসম্মানহীন নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা ১০ মহরমের মূল বাণী। তার নিজের আত্মত্যাগের এই ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিবাদী হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী প্রেরণা জুগিয়ে চলেছে।
আজকের এ দিনে আমি হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি ইমাম হোসাইন (রা.), তার পরিবার এবং কারবালার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
মন্তব্য করুন