ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে বর্তমান কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
গোলাম পরওয়ার বলেন, সরকারি চাকরিতে বর্তমান কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে দলমত নির্বিশেষে গোটা ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ছাত্রসমাজের দাবির যৌক্তিক সমাধানের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রীরা আন্দোলনকারী ছাত্রসমাজকে কটাক্ষ করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে ছাত্রসমাজের আন্দোলন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১৪ জুলাই) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্রসমাজকে ‘রাজাকারের নাতি-পুতি’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, ‘আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের জবাব দিতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছাত্রছাত্রী ও তাদের পিতা-মাতাকে কটাক্ষ করে অবমাননাকর মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। সোমবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে হামলা চালিয়ে পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে আহত ও রক্তাক্ত করেছে। জামায়াতের এ নেতা বলেন, সন্ত্রাসী তাণ্ডব বন্ধ করে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের যৌক্তিক দাবির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।