ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে নামপ্রস্তাব করায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে যে পদবাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করে সংবাদিকদের কাছে তথ্য-প্রমাণ চেয়েছেন আবু আহাম্মদ মান্নাফী ও হূমায়ন কবির। তারা প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি এই দুই নেতার।
গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিতে নামপ্রস্তাব করায় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করে যাচ্ছেন তার প্রতিবাদ জানিয়ে মান্নাফী কালবেলাকে বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি দীর্ঘদিন ধরে। আমি ১৯৬৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ করি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন আওয়ামী লীগ লড়াই করেছে। আমি তখনও ছিলাম এখনো আছি ভবিষ্যতেও থাকব। যারা এই শেষ সময়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন গাড়ি ও টাকার বিনিময়ে আমি নাকি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত থানা ও ওয়ার্ড পর্যাযের নেতা হিসাবে নাম প্রস্তাব করেছি। এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি কেয়ামত পর্যন্ত এই মিথ্যা অভিযোগ মনে রাখব।
তিনি বলেন, যারা সংবাদটি করেছে তারা আমার সব কথা তুলে ধরেননি। আমি প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে পত্রিকাটিতে কথা বলব, তাদের কাছে অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ চাইব দিতে না পারলে আমি দেশের প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিব।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, বরাবরের মতো ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বিদায়ী কমিটি নতুন ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগ কমিটির প্রস্তাবনা দিয়ে আসছে। এতে করে আমাদের অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী আছে। যারা পদ-পদবি পেতে চায়। কিন্তু সবাইকে তো আর পদ দেওয়া সম্ভব না। তাই অনেকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলকে ব্যক্তি স্বার্থে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। এ ছাড়াও গণমাধ্যমের যারা সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের কাছে সংবাদের তথ্য উপাত্ত চাইব। তারা যদি সেগুলো আমাদের দিতে ব্যর্থ হয় আমরা তাদের বিরুদ্ধেও দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিব।
মন্তব্য করুন