কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তাদের দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করেছে খেলাফত মজলিস। পাশাপাশি সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়ে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি অবিলম্বে মেনে নিয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) খেলাফত মজলিসের প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার রাতে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে বক্তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার বিষয়ে সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করলে বিষয়টি ছাত্ররা মেনে নেয়। কিন্তু সেই ইস্যুকে আবার তাজা করে ছাত্রদের রাজপথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
নয়াপল্টনের মজলিস মিলনায়তনে খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইনের পরিচালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, যুববিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, মো. জিল্লুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম, মুহাম্মদ শায়খুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজীজুল হক প্রমুখ।
বৈঠকে সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির অসুস্থ মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক এম মুজাহিদুল ইসলামের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।