সরকার দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পরে যখন ক্ষমতায় ছিল- ১৯৭৫ সাল পরবর্তী তারা একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আর আজকে ভিন্ন চেহারাতে একটু ছদ্মবেশ ধারণ করে গণতন্ত্রের কথা বলে তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে গিয়ে তারা নির্বাচনকে ধবংস করেছে, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে পুরো দলীয়করণ করেছে এমন কোনো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বাকি নেই যেগুলো তারা ধ্বংস করেনি।
তিনি বলেন, দেশ আজ রসাতলে যাচ্ছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে বাংলাদেশ ততই আরও দ্রুত রসাতলে যাবে, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না, আমাদের অর্থনীতি-শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজকে এমন একটা বিষয় নেই যে ধবংস হয়ে যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন দরকার সকলের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করা, আরও শক্তিশালী করা এবং রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করা। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এটাকে আলাদা করে দেখার কোনো কারণ নেই। বেগম জিয়ার মুক্তি, এই দেশের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি- সব কিছুর মূলে যেটা আছে সেটা হলো আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগকে যদি আমরা সরাতে পারি, তাহলে সব বিষয়গুলো আমরা ফিরিয়ে আনতে পারবো। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করি। ইনশাল্লাহ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি। কেউ আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না।
নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং যুবদলের নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আমরা আশা করব- ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটির নেতৃত্বে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং এই সরকারকে পরাজিত করতে ভূমিকা রাখবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক মুক্তি হবে না। দেশের যে অবস্থা এই অবস্থায় মানুষের কোনো কথাই এই সরকার কর্নপাত করছে না। তারা তাদের মতো করে চলছে, তাদের মতো করে কথা বলছে। জনগণের কথা তারা বুঝে না। আমরা তাদের ভাষা বুঝতে পারি না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিল হয়। পরে খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা কাজী সেলিম রেজা।
মিলাদ মাহফিলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তরের আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করীম পল, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন