বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিএনপি ইন্ধন দিচ্ছে বলে ক্ষমতাসীনদের দেওয়া অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আমরা মনে করি- তাদের আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত। সুতরাং সেখানে আমাদের সমর্থন আছে, তবে ইন্ধনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সরকারি দলের মন্ত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের প্রফেশনাল জায়গা থেকে আন্দোলন করছেন, ছাত্র-ছাত্রীরা করছেন। আমরা এখানে ইন্ধন দিতে যাব কেন? প্রশ্নই উঠে না। নিজেদের স্বার্থে তারা যদি এখন ঐক্যবদ্ধ হয়, এটা আমাদেরকে বরঞ্চ অনুপ্রাণিত করছে।
তিনি বলেন, দেশে বিপুল সমস্যা আছে। সেটাকে ভিন্নদিকে ডায়ভার্ট করার জন্যে এই আন্দোলন সৃষ্টি করা হচ্ছে। ৫০ বছর পরেও ৫৬ শতাংশ কোটা দিয়ে রাখবেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এটাতে মেধার বিকাশ হচ্ছে না, মেধাবীদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন জায়গাগুলোতে নিতে পারছেন না। একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।
শিক্ষকদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। আপনি এর আগে এক রকম কথা বলেছেন, এখন করছেন আরেক রকম। আপনি বলেছেন যে, যারা পেনশন পায় তাদের কোনো দরকার নেই। যারা পেনশনের বাইরে রয়েছে, তাদেরকে নিয়ে আসতে পারে-বিয়ষটি ঐচ্ছিক, এখন কম্বলসারি করে দিয়েছেন। কারণ হচ্ছে সরকারের আর্থিকখাতে যে দুরবস্থা, তাদের টাকা-পয়সা সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে মানি নিয়ে আসছে। অনেকগুলো অটোনোমাস বডি আছে যাদের কাছে বহু সারপ্লাস মানি ছিল- সেগুলো নিয়ে নিয়েছে। কোথাও কিছু বাকি রাখছে না, সব নিয়ে ফেলছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, সবাই দুর্নীতিবাজ। এমনকি যারা প্ল্যানিং করছে, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করছে, বাজেট তৈরি করছে সবক্ষেত্রে দেখবেন দুর্নীতির ব্যাপারটা প্রধান। এত বেশি দুর্নীতি করেছে যে, এখন ঋণের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। এ কারণে এখন তারা চতুর্দিক থেকে ঋণ নিচ্ছে। একটা ঋণ নিয়ে অন্য ঋণ শোধ করা, আরেকটা ঋণ নিয়ে আরেকটা ঋণ শোধ করা- এভাবে চলছে। যারা সব জায়গাতে ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, ঠিকমতো চালাতে পারছে না- তাদেরকে কিন্তু এই কাজটা করতে হয়।
মন্তব্য করুন