সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিকে ‘যৌক্তিক ও ন্যায্য’ উল্লেখ করে সরকারকে পানি বেশি ঘোলা না করে অবিলম্বে দেশব্যাপী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিটি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন সাইফুল হক।
বিবৃতিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, উচ্চ আদালতের অজুহাত দিয়ে কোটা সংস্কারের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোটা সংস্কারের বিষয়টি কোনো আইনি সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, এটা মূলগতভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এ কারণে ২০১৮ সালে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই সরকার কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারী ছাত্র-তরুণরা কেউই কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার কথা বলেনি, এখনও কেউ বলছে না। দাবি হচ্ছে স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা। একইসঙ্গে পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কোটা ব্যবস্থাও প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যস্ত করা প্রয়োজন।
সাইফুল হক বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতা যে প্রধান বিবেচনা এটা নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন তোলা বা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। মেধা ও যোগ্যতাকে মানদণ্ড ধরে সমগ্র কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-তরুণ তথা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ কোনো সরকার ছাত্র তরুণদের আন্দোলনের মুখে এ রকম নির্বিকার থাকতে পারে না। তিনি সরকার ও সরকারি দলকে জেদ পরিহার করে দ্রুত কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান, যাতে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসরুমে ফিরতে পারে। সাইফুল হক একইসঙ্গে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রতিও নৈতিক সমর্থন ব্যক্ত করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ‘প্রত্যয়’ পেনশন স্কিম প্রত্যাহার করারও দাবি জানান।
মন্তব্য করুন